একটি মোবাইল কেনার সময় আমরা কি করি? বাজেট ঠিক করি, কতো জিবি স্পেস, কতো মেগাপিস্কেল ক্যামেরা, ব্যটারির ব্যাকআপ টাইম, স্ক্রিন সাইজ ইত্যাদি নিয়ে মোটামুটি একটা এক্সপেকটেশন দাড় করাই। অনলাইনে ঘাটাঘাটি অথবা ফ্রেন্ডদের জিজ্ঞেস করি – ১০/১২ হাজার টাকার মধ্যে ভালো সেট কোনটি? পছন্দমতো উত্তর যাচাই করে, চলে যাই মার্কেটে। ফোন কিনে বাসায় এসেই শুরু হয় এক্সপ্লোরেশন আর যাচাই – যেমনটি চেয়েছি তেমনই পেলাম? নাকি, না? ভালো হলে খুশি মনে চার্জে দিয়ে পরদিন থেকে গুণগান। সেট খুব ভালো। অন্যদের রিকমেন্ড করা শুরু করি।
ইউএক্স হলো ইউজার এক্সপেরিএন্স কথাটির সঙ্খিপ্ত রূপ, যার অর্থ “ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা”। একটি প্রোডাক্ট, সিস্টেম অথবা সার্ভিস ব্যবহার করার আগে, ব্যবহার করার সময় ও ব্যবহারের পরে সেটি সম্পর্কে একজন ইউজার (বা ভোক্তার) মনে সেই পণ্য সম্পর্কে যে ধারণা তৈরী হয়, তাকেই ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা বা ইউজার এক্সপেরিএন্স বলে।
মোবাইলটি ইউজ (ব্যবহার) করে আপনার ভালো লাগছে, অন্যকেও কিনতে বলছেন। কারন, এটি আপনার জীবনে মূল্যযোগ করছে। যেসকল পণ্য ব্যবহার করে আমাদের জীবনে মূল্যযোগ হয়, সেগুলোকে আমরা মূল্যবান পণ্য বা “ভ্যাল্যুয়েবল প্রোডাক্ট” বলি। কোন প্রোডাক্ট’কে ভ্যাল্যুয়েবল হতে হলে সেটির কতোগুলো গুণাবলি থাকা আবশ্যকঃ
আমরা জানলাম ইউজার এক্সপেরিএন্স কি, এবং একটি পণ্য/সেবা/সিস্টেম কিভাবে মানুষের জীবনে মুল্যযোগ করতে পারলে তাকে আমরা ভ্যাল্যুয়েবল প্রডাক্ট/সার্ভিস/সিস্টেম বলি।
ভ্যাল্যুয়েবল এক্সপেরিএন্স ডিজাইন করার পন্থাগুলো সম্পর্কে আলোচনা পরের পর্বগুলোতে করা হবে।
পড়ুনঃ ইউজার ইন্টারফেইস ডিজাইন বা UI Design কি?